সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির নলছিটিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের মানাপাশা গ্রামের হয়রানির শিকার আব্দুল সত্তার হাওলাদার গং তাঁর নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সত্তার হাওলাদার ও হুমায়ূন কবির গং বলেন, আমরা দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে মানপাশা মৌজার, জে.এল-১০৫ খতিয়ানের প্রায় ৮ একর সম্পত্তি এস.এ, বি.এস ও দখল মূলে মালিক। আঃ ছাত্তার হাওলাদার গংদের এস.এ খতিয়ান ৭২,১৯৫,৪৫ দাগ৫৮৭, ৫৮৮, ৫৯১, ৫৬৮, ৬০৫, ৫৯০, ৬১৮, ৬১৯, ৫৮২, ৫৮৩, ৫৮৬, ৫৮৫, ৫৭৮, ৫৮০, ৫৮৪, ও ৫৭৯ দাগের মালিক। মোঃ হুমায়ুন কবির ও মোঃ হারুন হাওলাদার গংদের এস.এ খতিয়ান ৪৬৯, ৪২৫, ৪২৬, ৪৮৪, ১৭২, ১০, ১১, ১২, দাগ নং-৬১২, ৬১৩, ৬১৪, ৬২১, ৬৩৪, ৬৩৫, ৬২৯, ৬৫৭, ৬৫৮ এর দলিল মূলে রেকর্ডীয় ও দখলীয় মালিক।
তাঁরা আরও বলেন, এই সম্পত্তি আমাদের বাবা দাদাসহ পূর্বপুরুষরা ভোগ দখল করে আসছে। উল্লেখিত দাগ ও খতিয়ানে কুশঙ্গল ইউনিয়নের ভাউমহল গ্রামের মোঃ মনির উদ্দিন ১৯৭৪-৭৫ সালে একটি ভুয়া ডিক্রি ক্রয় করে মোঃ আব্দুল সত্তার হাওলাদার, আব্দুল ছালাম হাওলাদার, পিতা মৃত: সেরাজ উদ্দিন, মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদার, পিতা মৃত: দলিল উদ্দিন হাওলাদার, মোঃ হারুন হাওলাদার গং, পিতা মৃত: আব্দুল মজিদ হাওলাদার,আঃ ছাত্তার হাওলাদার,পিতা মৃত:জবান আলী হাওলাদার, মোঃ বাচ্চু হাওলাদার ও মোঃ কামাল হাওলাদার পিতা মৃত: সামছু উদ্দিন হাওলাদারের এর বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।
ভুয়া ডিক্রি মালিক মোঃ মনির উদ্দিন মারা গেলে তাহার পুত্র পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত মোঃ ফজলুর রহমান তার নতুন করে তাঁর পিতার মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তিনি তাঁর কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে ঝালকাঠি জেলা আদালতপাড়া ও মানপাশা গ্রামে অধিকাংশ সময় ঘুরে বেড়ায় বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনি তাঁর সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও তারা জানান।
হুমায়ুন কবির বলেন, মামলার বাদী আমাদের বিরুদ্ধে এবং আত্মীয় স্বজনের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। এঘটনায় মহামান্য আদালতের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তদন্ত দিলে মামলার বর্তমান বাদী মোঃ ফজলুর রহমানকে নোটিশ পাঠিয়ে ডাকা হলে তিনি উপস্থিত হননি বলে তারা জানান। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আব্দুল ছত্তার হাওলাদার মহামান্য আদালত, জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনের কাছে উক্ত মিথ্যা মামলা ও হয়রানির সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচার কামনা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফজলুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।